Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

সবাইকে অগ্রীম হ্যাপি নিউ ইয়ার।

আসছে ইংরেজী নববর্ষ উৎযাপনে সবাইকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। ধর্মহীনদের অনুষ্ঠান আছে কিন্তু কোন ধর্মীয় উৎসব নেই। তাই নাস্তিক মুক্তচিন্তাকারীদের সব ভালো উৎসবই তাদের ধর্মীয় উৎসব। আর এই উৎসব কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি মানবধর্মের উৎসব। তাই পৃথিবীর সব ভালো উৎসবই মানবতা ধর্মের অনুসারীদের নিজের উৎসব। আর তাই ইংরেজী নববর্ষকে আমরা গর্বের সাথেই উৎযাপন করবো। সবাইকে অগ্রীম হ্যাপি নিউ ইয়ার।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

ধর্মবেত্তাগণ প্রায়ই দাবী করে থাকে যে তাদের ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আর তাই তাদের ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল বা পরস্পর বিরোধীতা নেই। কিন্তু সেই ধর্মের অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা ছাড়া সবাই ওই ধর্মগ্রন্থটিতে অসংখ্য ভূল, মিথ্যাবাণী এবং পরস্পর বিরোধীতা দেখা যায়। যখন সেই ধর্মের অনিসারীদেরকে সেই ভূলগুলো দেখানো হয় তখন তারা বলতে থাকে ওসব বাণীতে কোন ভূল নেই। মানুষশুধু ওই বাণীগুলোর সঠিক অর্থ উৎঘাটন করতে পারে না। তারা বিশ্বাস করে ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল নেই। এমন কি তারা ধর্মগ্রন্থের ভূলগুলো সংশোধন করতে ধর্মগ্রন্থের অভ্যন্তের বাক্যগুলোর অর্থের পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে নতুন অর্থ করে নেয়। এভাবে নানা অপব্যাখ্যা হাজির করে তাদের ধর্মের সত্যতা দাবী করে থাকে। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই কম বেশী এই প্রবণতা দেখা যায়। খুব অবাক করা ব্যাপারটি হলো সবগুলো ধর্মই তাদের ধর্মগ্রন্থকে এভাবে অর্থের এবং ব্যাখ্যার পরিবর্তন করে তাদের ধর্মগ্রন্থকে সত্য বলে দাবী করে। যদিও ধর্মগ্রন্থের অর্থের পরিবর্তন করে সেটার ভূলকে সংশোধন করার পর সেখানে ধর্মগ্রন্থের কৃতিত্বটা কতটুকু অবশিষ্ট্য থাকে সেটা ধার্মীকগণ বুঝতে চান না। সব ধর্মের ধার্মিকগণই একই রকম আচরণ করে থাকে।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ধার্মিকগণ নিজেদের ধর্মগ্রন্থকে অর্থের পরিবর্তন করাকে খারাপ হিসেবে না দেখলেও ভিন্ন ধর্মের ধার্মিকদের ধর্মগ্রন্থের এমন পরিবর্তনকে ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করে।
সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই এমন দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ঈশ্বর এবং ধর্মের ভিত্তিহীনতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

ধর্মই যদি সব অন্যায় থেকে মানুষকে বিরত রাখতে পারতো তবে পৃথিবীতে এত
অন্যায় সংঘটিত হতো না। মানুষের মধ্য অপরাধ প্রবনতা ধর্ম বিশ্বাসী বা ঈশ্বর বিশ্বসীদের মধ্যেই বেশী। পরকালের কাল্পনিক নরকের শাস্তির ভয় এবং কাল্পনিক স্বর্গের লোভ যে কখনও অপরাধ সংঘটন রোধ করতে পারে না তার নজীর পৃথিবীতে অসংখ্য। পৃথিবীতে যত অপরাধ, সন্ত্রাসী কাজগুলো ঘটছে তার প্রায় সবগুলোই ঈশ্বর বিশ্বাসী ধার্মীকরাই করছে। এতে এটাই প্রমানিত হয় যে অপরাধ দমনে ধর্মের ভুমিকা শুন্য। আর সেজন্যই অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলো আইন প্রয়োগ করে রোধ করতে হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ঈশ্বর এবং ধর্মের ভিত্তিহীনতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

মানুষেরাই (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তাদের সৃষ্টি করেছে।

পৃথিবীতে এতো এতো ধর্ম বিদ্যমান কিন্তু কোন ধর্মের সাথেই অন্য ধর্মের মিল নেই। প্রত্যেকটি ধর্মই পরষ্পরের থেকে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদে বিশ্বাস করে। পৃথিবীর এমন চতুর্মুখী ধর্মগুলো দেখলেই বোঝা যায় ধর্মগুলো মানুষই সৃষ্টি করেছে। সেই সাথে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ সৃষ্টি করেছে। আর এজন্যই একেক ধর্মের সৃষ্টিকর্তাগুলো একেক রকম। প্রাচীণকালে মানুষ যখন গোষ্ঠিতে গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে গেছে তখন তাদের আচার আচরণ এবং ঐতিহ্যের সাথে সাথে ধর্মগুলোও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। আর সৃষ্টিকর্তাগুলোও ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়েছে। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ করে মানুষের সৃষ্টিশীল বৈশিষ্ট্য দ্বারা মানুষই ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেনি বরং মানুষেরাই (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তাদের সৃষ্টি করেছে।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

ধর্ম বিলুপ্তির পথ ধরেছে এবং বিলুপ্ত হবেই।

মানুষ যখন স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করলো তখন তাদের মধ্যে রাষ্টীয় ব্যবস্থাপনা শুরু হলো। ফলে মানুষের আমিত্ব স্বভাব থেকে সবাই রাষ্ট্র নেতা হতে চাইলো। তখনই রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়। দেখা গেল যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নির্বাচিত বলে নিজেকে দাবী করেছে সেই বেশী সংখ্যক মানুষের সমর্খন পেতে থাকলো। ফলে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যার জন্য মানুষ যে ধর্মের সৃষ্টি করেছিল সেই ধর্মই সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পারছে। প্রাচীণকালে যখন মানুষ প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করার সঠিক মাধ্যম সম্পর্কে জানতো না তখন তারা ঈশ্বর নামের মহাজ্ঞান সৃষ্টি করেছিল। আর মানুষের সৃষ্টি করা কাল্পনিক ঈশ্বর দিয়ে তারা অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে থাকলো। যদিও সেই উত্তরগুলো সঠিক ছিল না তবুও ঈশ্বরের ধারণা তখনকার মানুষের মনের কৌতুহলকে মেটাতে পেরেছিল। কিন্তু সেসব প্রকৃতির ব্যাখ্যা যেমন এযুগের মানুষের কাছে হাস্যকর ঠিক তেমনি বিশ্বজগতের ব্যাখ্যায় সৃষ্টিকর্তার আমদানী এখন শুধু বাহুল্যই নয় বরং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রাচীণকালে ঈশ্বর সম্পর্কিত কুসংস্কারগুলোই সে সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পেরেছিল রাজনৈতিক অপশক্তির হাত ধরে। আজও মানুষ ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর এ কারণেই একবিংশ শতাব্দির বিজ্ঞানময় জগতে এসেও ধর্মের ভাইরাসটি সহি সালামতে টিকে আছে। ধর্ম মানুষকে এক সময় কিছুটা সভ্য হতে সাহায্য করেছিল ঠিকই কিন্তু এই ধর্মই মানুষকে বর্তমানে অসভ্য, বর্বর করে রেখেছে। মানুষ এখন অনেক উন্নত হয়েছে জ্ঞানে এবং মানে। আর তাই মানবিকতার হিসেবে অসভ্য বর্বর ধর্মের বিদায় নেবার সময় এসে গেছে। মানুষ এখন মানবিকতায় অনেক উন্নত। কিন্তু তবুও রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় ধর্মের মতো বর্বর ব্যবস্থা এখনও টিকে আছে। যখন মানুষ মানবিকতায় আরও বেশী উন্নত হবে তখন আর রাজনৈতিক অপশক্তি ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। ধর্মের মৃত্য ঘটবে মানুষ মানবিকতায় উন্নততর হলেই। যেহেতু মানুষ মানবিকতায় উন্নত হচ্ছে দিন দিন, তাই এ কথা চোখ বন্ধ করেই বলা যায় যে ধর্মের মৃত্যু অবশ্বম্ভাবী। ধর্ম বিলুপ্তির পথ ধরেছে এবং বিলুপ্ত হবেই।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

প্রার্থনা কি মানুষকে শান্তি দিতে পারে?

আমার মন কোন ক্রমেই শান্তি পায় না যতক্ষন আমি প্রার্থনা না করি। এমন দাবী প্রায় সব আস্তিকই করে থাকে। কিন্তু আমি নাস্তিক হওয়ার দরুণ প্রার্থনায় আমার কোন প্রশান্তি আসে না। বরং প্রার্থনা করতে আমার প্রচন্ড বিরক্তি লাগে। অথচ আমি যখন আস্তিক ছিলাম তখন আমারও প্রার্থনায় প্রশান্তি মিলতো। এমন কি প্রার্থনা না করলে আমার মধ্যে এক ধরনের অশাান্তি কাজ করতো। অথচ এখন নাস্তিক হবার পরে আর সে ধরণের অশান্তি হয় না। বরং প্রার্থনা করে সময় অপচয় করলে আমার এক ধরনের অশান্তি হতে থাকে।
এটার একটি যৌক্তিক কারণ আছে। শৈশব থেকে মানুষ প্রার্থনা করার সুফলের কথা এবং না করলে কুফলের কথা শুনিয়ে মানুষকে সে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখা হয়, এই বিভ্রান্তিটিই প্রার্থনায় প্রশান্তির কাজ করে। কিন্তু সেই মানুষটিই যখন এসমস্ত কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসে তখন আর এই পদ্ধতিটি আর কাজে দেয় না। প্রার্থনার প্রশান্তির কারণটি হলো যে খুব ছোট থাকতেই মানুষকে এক ধরনের কাল্পনিক পরকালিক অশান্তি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সব সময়ই মানুষটি সেই কাল্পনিক পরকালিক যন্ত্রনা পেতে থাকে নিজের অজান্তে। ফলে প্রার্থনা করলে সে প্রশান্তি পায় আর না করলে অশান্তিটি গাড় হয়। কিন্তু যারা নাস্তিক হয় তারা ইতিমধ্যে সেই পরকালিক কষ্ট থেকে মুক্তি পায় বলে প্রার্থনা না করেও সে খুব সুখি থাকে এমনকি সে প্রার্থনা করেই বরং সেই অশাান্তিটি ভর করে।
আর তাই নাস্তিকদের কোন ধরনের পরকালিক অশান্তি নেই বলে সে প্রার্থনায় বিরক্তি বোধ করে।

আমরা সবাই প্রকৃতির সন্তান।

পৃথিবীতে প্রচলিত যত সৃষ্টিকর্তা রয়েছে তার সবগুলোর মধ্যেই প্রাচীণ রাজাদের বর্বর চরিত্রগুলো উঠে এসেছে। সব সৃষ্টিকর্তাই রাজাদের মত করে চিন্তা করে। রাজাদের মতো তুষামোদে খুশি হয়। কথার অমান্য করলে অমানুষিক শাস্তি দেয়। চাটুকারীতায় খুশি হওয়া এবং অসীম ক্রুধ সৃষ্টিকর্তাদের মানুষে পরিণত করে। আর তাই পৃথিবীর প্রচলিত কোন সৃষ্টিকর্তাই সত্যি নয়। এগুলো প্রাচীণ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হওয়া কিছু কাল্পনিক চরিত্র মাত্র।
যদি একজন সৃষ্টিকর্তা সত্যিই থেকে থাকে তবে সেটি শুধুমাত্র এবং কেবলমাত্র প্রকৃতি। প্রকৃতিই বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার মর্যাদা পেতে পারে। বিশ্বজগতের সব কিছুকে প্রকৃতিই সৃষ্টি করেছে। আবার প্রকৃতি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজগতে যা কিছু রয়েছে তার সব কিছুই প্রকৃতির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি কোন চিন্তাশীল স্বত্বা নয়। তাই প্রকৃতি কোন পরিকল্পনা করে কিছু করে না। প্রকৃতি তার নিজের বৈশিষ্ট্য এবং নিজ ধর্মের দ্বারা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত এবং রুপান্তরের মাধ্যমে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজগত নিজেই যেমন পৃকৃতির সৃষ্টি আবার এই বিশ্বজগত নিজেই প্রকৃতি। প্রকৃতিই পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত এবং রুপান্তরিত হয়ে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে। 
আর আমরা সবাই প্রকৃতির সন্তান।

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

ধর্মগুলো মানুষেরই তৈরী করা।

পৃথিবীর সব ধর্মই তৈরী হয়েছে প্রাচীণকালে। ফলে প্রাচীণ মানুষের ধ্যাণ ধারণাগুলো সব ধর্মেই বিদ্যমান। আর তাই ধর্মগ্রন্থগুলোতে এতো এতো ভূল, প্রাচীণ ধ্যাণ ধারণা, প্রাচীণ নিয়ম নীতি  এবং প্রাচীণ আচার আচরণ বর্ণিত হয়েছে। এক কথায় ধর্মগুলো প্রাচীণ বলে এর নিয়মগুলোও খুব প্রাচীণ পাওয়া যায়, অপরদিকে ধর্মগ্রন্থগুলো প্রাচীণ ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে। ঠিক একই কারণে ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থগুলোকে যারা অন্ধের মতো অনুসরণ করে চলে তারা থেকে যায় প্রাচীণ বর্বর যুগে।
প্রক্ষান্তরে ধর্মগ্রন্থগুলো প্রাচীণ মানুষের লেখার কারণেই আমাদের বুঝতে সুবিধা হয়েছে যে ধর্মগুলো মানুষেরই তৈরী করা।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

তিন মালুর গল্প।

মুসলমান মালু হিন্দু মালু কে বললো- আমার ধর্ম একমাত্র সত্য ধর্ম। পৃথিবীর আর কোন ধর্মই সত্য নয়।
হিন্দু মালু প্রতিবাদ করে বলে উঠলো- অসম্ভব! আমার ধর্মই পৃথিবীর এক মাত্র সত্য ধর্ম।
খ্রিস্টান মালু দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো- তোদের কারো ধর্মই সত্য নয়। একমাত্র আমার ধর্মই পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্ম।
খেঁকিয়ে উঠলো হিন্দু মালু এবং মুসলমান মালু। এক সাথে বলে উঠলো- চুপ থাক!
মুসলমান মালু বললো- আমার ধর্ম সত্য এটার প্রমাণ হলো কুরআন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কেউ কুরআনের একটা আয়াতকেউ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেনি। আর তোদের বেদ, বাইবেলের ভূল আমি বের করে দিয়েছি।
হিন্দু মালু প্রতিবাদ করে বললো- অসম্ভব! আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কেউই বেদ-গীতার একটা কথারও ভুল ধরতে পারেনি। তোদের কুরআন, বাইবেলের অসংখ্য ভূল আমি নিজে বের করে দিয়েছি।
খ্রিস্টান মালু আগের মতই দাঁত কেলিয়ে বলে উঠলো- তোরা যে যাই বলিস না কেন, একমাত্র আমার ধর্মই সত্য। কারণ বাইবেল হলো পৃথিবীর একমাত্র সত্য গ্রন্থ যার একটা ভূলও আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন মানুষই বের করতে পারেনি। আর তোদের কুরআন, বেদের অসংখ্য ভূল আমি নিজে বের করে দিয়েছি।

দুরে দাড়িয়ে নাস্তিক মালু মুসলমান, হিন্দু এবং খ্রিস্টান মালুদের কথা শুনছিল। মনে মনে ভাবলো ওদেরকে কিছু বুঝাবে। পরক্ষনেই মত পাল্টালো। কি লাভ ওদের বুঝিয়ে? অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো কি সত্য মানুতে চাইবে? উল্টো পথে হাটা শুরু করলো নাস্তিক মালু।

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

একমাত্র ধর্মহীন নৈতিকতা বোধই মানুষকে নীতিবান বানাতে পারে।

ধর্মগুলো যেহেতু মানুষকে লোভ এবং ভয় দেখিয়ে ভালো কাজ করাতে চায় ফলে সব ধার্মিকই শৈশব থেকে শিক্ষা পেয়ে আসে যে পরকালে বেহেশ্তের অসীম সুখ পেতে হলে এবং পরকালে শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ধার্মিক হওয়া ছাড়া আর কো উপায় নেই। ফলস্বরুপ তাদের অবচেতন মনে লোভ এবং ভয় উৎপন্ন হয় আর যা কিছু করে সব লোভ এবং ভয় থেকে করে। কিন্তু প্রকৃত নৈতিকতাবোধ কখনই লোভ বা ভয় থেকে হওয়া উচিত নয়। যেখানে সব কিছুর পেছনে লোভ এবং ভয় কাজ করে সেখানে নৈতিকতার জায়গাটা অবশিষ্ট থাকে কোথায়?
এজন্য আস্তিকরা লাভ ছাড়া কোন কাজ করতে চায় না। পূন্য পাওয়ার লোভটাই এক সময় মানুষকে সুদ ঘুষ খাওয়ার দিকে পরিচালিত করে। আস্তিকরা যেহেতু কোন প্রতিদান পাওয়া ছাড়া কোন কাজ করার কথাই চিন্তা করতে পারে না (কারণ তারা শিখে আসে ভালো কাজ করলে পুণ্য পাওয়া যায় আর পুন্যের মাধ্যমে স্বর্গ কেনা যায়।)তাই তারা মানুষের উপকারের পেছনে খুজে পুন্য বা সুদ ও ঘুষ।
ধর্ম কখনই মানুষকে ভালো নৈতিকতা শিক্ষা দিতে পারে না। একমাত্র ধর্মহীন নৈতিকতা বোধই মানুষকে নীতিবান বানাতে পারে।

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

নাস্তিক এবং আস্তিকের মধ্যে পার্থক্য

আস্তিকরা মনে করে নাস্তিকরা হলো পৃথিবীর নিকৃষ্ট প্রাণী। কেউ কেউ নাস্তিকের কথা শুনলেই আতকে উঠে। তাদের কাছে নাস্তিক মানেই ভয়ংকর কিছু। কিন্তু তাদেরকে কে বোঝাবে নাস্তিকরাও তাদের মত স্বাধারণ মানুষ। নাস্তিকদের মধ্যেও মায়া, মততা, ভালোবাসা এবং মানবিকতা বোধ আছে।
ধার্মিকরা যেমন মানবিকতার কথা না বলে সব সময় তাদের কল্পিত সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে সারাক্ষন ব্যস্ত থাকে, নাস্তিকরা শুধু এই কাজটি করে না। আস্তিকরা সব ভালো কাজ করে সৃষ্টিকর্তার খুশি এবং পুরস্কার পাবার আশায় আর সৃষ্টিকর্তার শাস্তির ভয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। পক্ষান্তরে নাস্তিকরা কাউকে খুশি করতে বা কারো কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার লোভে কোন ভালো কাজ করে না; এমনকি তারা কাউকে ভয় পেয়েও ভালো কাজ করে না; বরং তারা ভালো কাজ করে তাদের বিবেক এবং নৈতিকতা বোধ থেকে। কোন পুরস্কার বা শাস্তির ভয়ে নয়।
ফলে নৈতিকতার দিক থেকে নাস্তিকরা সব সময়ই আস্তিকদের থেকে শতগুন ভালো হয়।
শুধু এতটুকুই পার্থক্য নাস্তিক এবং আস্তিকের মধ্যে।
ভালো মানুষই ভালো কাজ করে, এতে ধর্মের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটা প্রমাণিত যে ধর্মগুলোই ভালো মানুষকে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে।

সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

ধর্মহীন পৃথিবীটা খুব সুন্দুর হবে।

যখন পৃথিবীতে কোন ধর্ম থাকবে না তখন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ আর থাকবে না। ধর্মগুলো যে ভেদাভেদ সেই প্রাচীণকাল থেকে করে এসেছে ধর্মের মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষের ভেদাভেদও আর থাকবে না। তখন পৃথিবীর সব মানুষই পরস্পরের ভাই হয়ে যাবে। ধর্মহীন পৃথিবীটা সত্যিই খুব সুন্দুর হবে।

রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

ধর্ম বিলুপ্তির পথে।

পৃথিবীতে যেহেতু অনেকগুলো ধর্ম পরস্পরে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং কোন ধর্মই সত্যি নয় তাই এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে ধর্ম অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রতিযোগিতায় সব সময়ই শক্তিশালীরা টিকে যায় আর দুর্বলরা বিলুপ্ত হয়। যেহেতু ধর্ম মিথ্যা এবং বিজ্ঞান সথ্য তাই ধর্মের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। ধর্ম বিলুপ্তির পথে।

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

অহংকার করতে চাইলে নারীর অহংকার করার অধিকার রয়েছে, পুরুষের নেই।

পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়ে অনেকে গর্ব করে এটা ভেবে যে তারা নারীর চেয়ে বেশী সম্মানের। তারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা নারীকে সৃষ্টি করেছে তাদের ভুগ্য সামগ্রী হিসেবে। কারণ সৃষ্টিকর্তা প্রথমে পুরুষকে সৃষ্টি করেছে এবং পুরুষের একাকীত্ব দুর করার জন্যই নারীকে সৃষ্টি করেছে। তাদের আরও বিশ্বাস যে সৃষ্টিকর্তার মানুষ সৃষ্টির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল পুরুষ। আর নারীকে সৃষ্টি করার একটাই কারণ পুরুষের মনরঞ্জন করা। তাই অন্ধবিশ্বাসী পুরুষরা নারীকে সব সময়ই কম মর্যাদার বলে মনে করেছে এবং নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে মনে মনে অহংবোধ করেছে। কিন্তু বিজ্ঞান যখন জানালো যে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি (সৃষ্টিকর্তারই কোন অস্তিত্ব নেই), মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক নিয়মে এসেছে অন্যান্য প্রাণীর মতই অর্থাৎ পশু হিসেবে। আর তাই নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি বরং নারী আর পুরুষ একই সাথে একই মর্যাদায় এসেছে। তাই তাদের কথাকথিত পুরুষ থেকে নারীর সৃষ্টির অনুকল্পটি সম্পূর্ণরুপেই কাল্পনিক যার কোন বাস্তব ভিত্তিই নেই। আর তাই পুরুষের এটা ভেবে গর্ব করাটা শুধু মূর্খতাই যে, নারী পুরুষের জন্য বা পুরুষের মনরঞ্জনের জন্য এসেছে। প্রকৃত সত্য হলো যদি নারী পৃথিবীতে না আসতো তবে পুরুষের জন্ম হতে পারতো না। অর্থাৎ প্রকৃতির কাছে নারীই মুখ্য ভুমিকা রাখে। পুরুষ একটা সাহায্যকারী মাত্র। নারীর সাহায্যকারী। তাই পুরুষের অহংকার করাটা অর্থহীন। কেউ অহংকার করতে চাইলে সেটা নারীর অহংকার করার অধিকার রয়েছে, পুরুষের নেই।
দি.দ্র.- বিবর্তনবাদ অনুযায়ী নারী বা মেয়ে জেন্ডার না থাকলে মানুষ বিবর্তিত হতে পারতো না। যেহেতু মানুষের বিবর্তনে নারী অপরিহার্য ভুমিকা রেখেছে তাই নারীই মানব জাতির সৃষ্টিতে মুখ্য ভুমিকা রাখতে পেরেছিল। বিবর্তনের শর্ত হচ্ছে প্রাণীকে বিবর্তিত হতে হলে বংশ বৃদ্ধি করতে হবে। আর বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিতে নারী জাতির অবদানই প্রধান।

শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমি হয়ে উঠলাম এক অবিশ্বাসী, একজন গর্বিত নাস্তিক।

পৃথিবীর সব আস্তিকদের মত আমিও সৃষ্টিকর্তাহীন এই বিশ্বজগতে জন্মেছিলাম। জন্মের সময় আমি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করিনি। কারণ আমার মধ্যে তখন কোন বিশ্বাসই তৈরী হয়নি। আমার বিশ্বাস করার শক্তি তৈরী হবার আগেই আমার বাবা-মা আমাকে তাদের ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছিল। আমিও পৃথিবীর সব আস্তিকদের মতো আমার ধর্ম বেছে নিতে পারিনি। সব আস্তিকের মতই আমি আমার বাবা মার ধর্ম কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে চলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমার ভিতরের যৌক্তিকতা মাথা চারা দিয়ে উঠলো। আমি অন্ধবিশ্বাসের ধর্ম থেকে বেড়িয়ে এসে বাস্তবতার সম্মক্ষিন হলাম। বিশ্বজগতের প্রকৃত সত্য জানলাম আর আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া সব অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে ছুড়ে ফেলে দিলাম। আমি হয়ে উঠলাম সত্য বিশ্বাসী মানুষ। কাল্পনিক সব অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কার থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিলাম। আমি হয়ে উঠলাম এক অবিশ্বাসী, একজন গর্বিত নাস্তিক।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

অর্থহীন প্রার্থনার টাকা এবং সময় মানব কল্যাণে লাগানোর নাস্তিকীয় আহবান।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সব মিলিয়ে হাজার হাজার ঘন্টা প্রার্থনার পিছনে ব্যয় করে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। কিন্তু এত এত সময় এবং টাকা খরচ করেও মানুষের কোন উপকারেই লাগে না। যেহেতু প্রার্থনা কোন ফল দেয় না তাই এই সমস্ত সময় এবং টাকা পুরোটাই অপচয় হয়। অথচ এই সময় এবং টাকা দিয়ে মানব কল্যাণকর কাজে ব্যয় করা যেতো। কিন্তু তবুও মানুষ এতো অপচয়টা মানব কল্যাণে না লাগিয়ে পরকালের কাল্পনিক সুখের আশায় শুধু নিজেদের স্বর্গের সুখের পেছনে ব্যয় করে।
ধর্ম যাই বলুক না কেন এই অপচয়টা কখনই কোন ভালো কাজ হতে পারে না। প্রার্থনা যেহেতু ফলহীন একটি অর্থহীন কাজ তাই সবার উচিত কাল্পনিক পরকালের নিজেদের সুখের কথা না চিন্তা করে মানব কল্যাণকর কাজে ব্যায় করে। এতেই প্রকৃত মঙ্গল হবে, ব্যক্তি এবং সম্পূর্ণ মানব জাতির।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

বিশ্বজগতের ব্যাখ্যায় সৃষ্টিকর্তার আমদানী একটি অর্থহীন প্রকৃয়া মাত্র।

আস্তিকদের একটি অদ্ভুত দ্বাবী যে সৃষ্টিকর্তা যদিও সব কিছু সৃষ্টি করেছেন কারণ কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছুই সৃষ্টি হতে পারে না কিন্তু সৃৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টি কর্তার দরকার নেই। সে কোন সৃষ্টি কর্তা ছাড়াই সৃষ্টিশীল থাকতে পারে।
যদি যুক্তিবাদীরা প্রশ্ন তুলে যে, সৃষ্টিকর্তা কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারলে প্রকৃতি কেন সৃষ্টিকর্তা লাগবে। যেটা সৃষ্টি কর্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটা প্রকৃতির ক্ষেত্রে হতে দোষ কি?
আস্তিকরা এই প্রশ্নটির কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে পারে না। ত্যানাপ্যাচানো অপযুক্তি হাজির করে বলে, সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিকর্তা থাকবে নে কারণ সে সৃষ্টিকর্তা। আর তাই তার কোন সৃষ্টিকর্তার দরকার পড়ে না।
যদি তাই হয়ে থাকে তবে শুধু সৃষ্টিকর্তার মতো অদ্ভুত রহস্যের আমদানী করার প্রয়োজনটা কি? সৃষ্টিকর্তা দিয়ে যদি বিশ্বজগতকে ব্যাখ্যা করা নাই যায় তবে বিশ্বজগতকে ব্যাখ্যায় কেন সৃষ্টিকর্তার মতো অদ্ভুত রহস্যের আমদানী করা যার ফলে রহস্য আরো বেড়ে যায়।
বিজ্ঞান দিয়েই তো ধর্মের চেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করা যায় বিশ্বজগতের।
তবে সৃষ্টিকর্তা কি একটি বাড়তি (সম্ভবত ফাল্তু) অনুকল্প (হাইপোথিসিস্) নয়?

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

আস্তিক এবং নাস্তিকের পার্থক্য।



আস্তিক- আপনি কোন কিছুকেই বিশ্বাস করেন না; ভূত-প্রেত বিশ্বাস করেন না, ফেরেশতা শয়তান বিশ্বাস করেন না, অলৌকিকতা বিশ্বাস করেন না এমনকি ঈশ্বরকেও বিশ্বাস করেন না কিন্তু আমরা আস্তিকরা খুব ভালো করেই জানি যে ঈশ্বর আছেন আমরা প্রতিনীয়ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব উপলব্ধি করি চারপাশের পরিবেশকে পর্যবেক্ষন করে আমরা অনুধাবন করতে পারি যে ঈশ্বর বলে কেউ একজন আছেন আমরা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করি প্রতিনিয়ত তাহলে আপনি কি বলবেন, আমরা কেন আমাদের অনুভব এবং উপলব্ধিকে অবিশ্বাস করবো? আপনি কি আপনার অনুভব এবং উপলব্ধিকে অবিশ্বাস করবেন?

নাস্তিক- এখানেই আমাদের আর আপনাদের মধ্যে পার্থক্য আপনারা আপনাদের উপলব্ধি অনুভবকে বিশ্বাস করেন কিন্তু আমরা আমাদের অনুভুতি উপলব্ধিকে বিশ্বাসতো করিই না উপরন্তু আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণকেও বিশ্বাস করি না যদি সেটা বাস্তবতার বিরোদ্ধে যায় আমরা জানি ব্যক্তিগত উপলব্ধি, অনুভুতি এবং পর্যবেক্ষনও মিথ্যা হতে পারে মানুষ নিজে ভুল দেখতে, শুনতে বা উপলব্ধি করতে পারে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার তাই ব্যাক্তিগত উপলব্ধি, অনুভুতি এবং পর্যবেক্ষনকেও বিশ্বাস করা উচিত নয় যদি সেটা বাস্তবতার বিরোদ্ধে যায় তবে যদি সেটা ব্যক্তি পর্যায় পার যদি সামষ্টিক পর্যায়ে যায় এবং সেটার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় সেটাতেই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি আর তাই ব্যক্তিগত উপলব্ধি, অনুভুতি বা পর্যবেক্ষনের কোন মুল্য নেই বাস্তব পৃথিবীতে উপলব্ধি, অনুভুতি এমনকি পর্যবেক্ষনও আমাদেরকে ধোকা দিতে পারে তাই ব্যক্তিগত অনুভব, উপলব্ধিকে বা পর্যবেক্ষনকেও অন্ধের মত বিশ্বাস করা উচিত নয়


রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমার কোন অস্তিত্বশীল সৃষ্টিকর্তা নেই। তাই (কাল্পনিক) কোন সৃষ্টিকর্তার আদেশ আমাকে মানতে হয় না।

আমার গুরুজনরা আছে এবং আমার বস্ (বড় কর্মকর্তা) আছে। আমাকে তাদেরকে সম্মান করে চলতে হয় এবং তাদের আদেশ মেনে চলতে হয়। কিন্তু আমার কোন অস্তিত্বশীল সৃষ্টিকর্তা নেই। তাই (কাল্পনিক) কোন সৃষ্টিকর্তার আদেশ আমাকে মানতে হয় না।

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

তুমি কি বিশ্বাস করো!




মুসলিম - তুমি কি বিশ্বাস করো কুরআন সত্য?
আমি নাস্তিক- হ্যা করি।
খ্রিস্টান- তুমি কি বিশ্বাস করো বাইবেল সত্য?
আমি নাস্তিক- হ্যা করি।
হিন্দু- তুমি কি বিশ্বাস করো বেদ সত্য?
আমি নাস্তিক- হ্যা করি।
উপস্থাপক - আপনি সবগুলো ধর্মগ্রন্থকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সত্য বলে বিশ্বাস করেন?
আমি নাস্তিক - না না না! আমি কখন বললাম আমি ধর্মগ্রন্থগুলোকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সত্য বলে বিশ্বাস করি? আমি শুধু বলেছি যে আমি কুরআন, বাইবেল, বেদ এগুলোর অস্তিত্ব আছে এই কথাটি বিশ্বাস করি। এগুলো কিছু প্রাচীণ গ্রন্থ এটা আমি জানি এবং বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না যে এগুলো সৃষ্টিকর্তা নামক কোন এক কাল্পনিক চরিত্রের রচনা করা বই। বরং আমি বিশ্বাস করি কুরআন, বাইবেল, বেদ এগুলো কিছু প্রাচীণ মানুষের লেখা বই যার বাস্তব অস্তিত্ব আছে। কিন্তু এই বইগুলোর কথাগুলো সঠিক নয় এবং এগুলোতে প্রচুর মিথ্যে এবং ভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া আছে। আর তাই এগুলো কোন ক্রমেই কোন সৃষ্টিকর্তা নামক কাল্পনিক চরিত্রের দ্বারা রচিত হতে পারে না।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

মানুষ যুক্তিবাদী হয়ে জন্ম নিলেও কেন অন্ধবিশ্বাসী থেকে যায়?

মানুষ যদি যুক্তিবাদী না হয়ে শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাসী হতো তবে বাজার থেকে মাছ কেনার সময় অবিশ্বাসী দৃষ্টিতে সেগুলোকে পরীক্ষা করতো না। কিন্তু মানুষের একটা সমস্যা হলো সে বাস্তব জীবন ধারায় যু্ক্তিবাদী হলেও বাপ-দাদার ধর্মের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধবিশ্বাসীর মতো আচরণ করে। আর এজন্যই মানুষ যুক্তিবাদী হয়ে জন্ম নিলেও তার বাপ-দাদার ধর্মের ক্ষেত্রে সারা জীবন অন্ধবিশ্বাসী থাকে। ফলে তারা কুসংস্কার এবং বাস্তবতার সঠিক পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না।

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

কোন ঈশ্বস নেই মানুষকে রক্ষা করার মতো

অসহায় হয়ে জন্ম নেওয়া মানুষ শৈশবেই যখন সে মা-বাবার দয়া ছাড়া চলতে পারে না, বড় হয়ে সে ধারণাই করে নেয় যে কেউ একজন তার মা-বাবার মতো তাকে সব সময় রক্ষা করবে আর সেই হচ্ছে ঈশ্বর আর এভাবেই মানুষ তার অবচেতন মনে একজন ঈশ্বরের ধারণা বহন করে চলে কিন্তু মানুষ কি কখনও বাস্তবতার নিরিখে বুঝতে পারবে যে মা বাবার মতো কেই তার জীবনে এসে তাকে রক্ষা করে না? সে সারাটি জীবন অসহায়ই থাকে? কারণ কোন ঈশ্বস নেই তাকে রক্ষা করার মতো