মানুষ যখন স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করলো তখন তাদের মধ্যে রাষ্টীয় ব্যবস্থাপনা শুরু হলো। ফলে মানুষের আমিত্ব স্বভাব থেকে সবাই রাষ্ট্র নেতা হতে চাইলো। তখনই রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়। দেখা গেল যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নির্বাচিত বলে নিজেকে দাবী করেছে সেই বেশী সংখ্যক মানুষের সমর্খন পেতে থাকলো। ফলে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যার জন্য মানুষ যে ধর্মের সৃষ্টি করেছিল সেই ধর্মই সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পারছে। প্রাচীণকালে যখন মানুষ প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করার সঠিক মাধ্যম সম্পর্কে জানতো না তখন তারা ঈশ্বর নামের মহাজ্ঞান সৃষ্টি করেছিল। আর মানুষের সৃষ্টি করা কাল্পনিক ঈশ্বর দিয়ে তারা অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে থাকলো। যদিও সেই উত্তরগুলো সঠিক ছিল না তবুও ঈশ্বরের ধারণা তখনকার মানুষের মনের কৌতুহলকে মেটাতে পেরেছিল। কিন্তু সেসব প্রকৃতির ব্যাখ্যা যেমন এযুগের মানুষের কাছে হাস্যকর ঠিক তেমনি বিশ্বজগতের ব্যাখ্যায় সৃষ্টিকর্তার আমদানী এখন শুধু বাহুল্যই নয় বরং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রাচীণকালে ঈশ্বর সম্পর্কিত কুসংস্কারগুলোই সে সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পেরেছিল রাজনৈতিক অপশক্তির হাত ধরে। আজও মানুষ ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর এ কারণেই একবিংশ শতাব্দির বিজ্ঞানময় জগতে এসেও ধর্মের ভাইরাসটি সহি সালামতে টিকে আছে। ধর্ম মানুষকে এক সময় কিছুটা সভ্য হতে সাহায্য করেছিল ঠিকই কিন্তু এই ধর্মই মানুষকে বর্তমানে অসভ্য, বর্বর করে রেখেছে। মানুষ এখন অনেক উন্নত হয়েছে জ্ঞানে এবং মানে। আর তাই মানবিকতার হিসেবে অসভ্য বর্বর ধর্মের বিদায় নেবার সময় এসে গেছে। মানুষ এখন মানবিকতায় অনেক উন্নত। কিন্তু তবুও রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় ধর্মের মতো বর্বর ব্যবস্থা এখনও টিকে আছে। যখন মানুষ মানবিকতায় আরও বেশী উন্নত হবে তখন আর রাজনৈতিক অপশক্তি ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। ধর্মের মৃত্য ঘটবে মানুষ মানবিকতায় উন্নততর হলেই। যেহেতু মানুষ মানবিকতায় উন্নত হচ্ছে দিন দিন, তাই এ কথা চোখ বন্ধ করেই বলা যায় যে ধর্মের মৃত্যু অবশ্বম্ভাবী। ধর্ম বিলুপ্তির পথ ধরেছে এবং বিলুপ্ত হবেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন