Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

অহংকার করতে চাইলে নারীর অহংকার করার অধিকার রয়েছে, পুরুষের নেই।

পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়ে অনেকে গর্ব করে এটা ভেবে যে তারা নারীর চেয়ে বেশী সম্মানের। তারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা নারীকে সৃষ্টি করেছে তাদের ভুগ্য সামগ্রী হিসেবে। কারণ সৃষ্টিকর্তা প্রথমে পুরুষকে সৃষ্টি করেছে এবং পুরুষের একাকীত্ব দুর করার জন্যই নারীকে সৃষ্টি করেছে। তাদের আরও বিশ্বাস যে সৃষ্টিকর্তার মানুষ সৃষ্টির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল পুরুষ। আর নারীকে সৃষ্টি করার একটাই কারণ পুরুষের মনরঞ্জন করা। তাই অন্ধবিশ্বাসী পুরুষরা নারীকে সব সময়ই কম মর্যাদার বলে মনে করেছে এবং নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে মনে মনে অহংবোধ করেছে। কিন্তু বিজ্ঞান যখন জানালো যে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি (সৃষ্টিকর্তারই কোন অস্তিত্ব নেই), মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক নিয়মে এসেছে অন্যান্য প্রাণীর মতই অর্থাৎ পশু হিসেবে। আর তাই নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি বরং নারী আর পুরুষ একই সাথে একই মর্যাদায় এসেছে। তাই তাদের কথাকথিত পুরুষ থেকে নারীর সৃষ্টির অনুকল্পটি সম্পূর্ণরুপেই কাল্পনিক যার কোন বাস্তব ভিত্তিই নেই। আর তাই পুরুষের এটা ভেবে গর্ব করাটা শুধু মূর্খতাই যে, নারী পুরুষের জন্য বা পুরুষের মনরঞ্জনের জন্য এসেছে। প্রকৃত সত্য হলো যদি নারী পৃথিবীতে না আসতো তবে পুরুষের জন্ম হতে পারতো না। অর্থাৎ প্রকৃতির কাছে নারীই মুখ্য ভুমিকা রাখে। পুরুষ একটা সাহায্যকারী মাত্র। নারীর সাহায্যকারী। তাই পুরুষের অহংকার করাটা অর্থহীন। কেউ অহংকার করতে চাইলে সেটা নারীর অহংকার করার অধিকার রয়েছে, পুরুষের নেই।
দি.দ্র.- বিবর্তনবাদ অনুযায়ী নারী বা মেয়ে জেন্ডার না থাকলে মানুষ বিবর্তিত হতে পারতো না। যেহেতু মানুষের বিবর্তনে নারী অপরিহার্য ভুমিকা রেখেছে তাই নারীই মানব জাতির সৃষ্টিতে মুখ্য ভুমিকা রাখতে পেরেছিল। বিবর্তনের শর্ত হচ্ছে প্রাণীকে বিবর্তিত হতে হলে বংশ বৃদ্ধি করতে হবে। আর বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিতে নারী জাতির অবদানই প্রধান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন