Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

ধর্মবেত্তাগণ প্রায়ই দাবী করে থাকে যে তাদের ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আর তাই তাদের ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল বা পরস্পর বিরোধীতা নেই। কিন্তু সেই ধর্মের অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা ছাড়া সবাই ওই ধর্মগ্রন্থটিতে অসংখ্য ভূল, মিথ্যাবাণী এবং পরস্পর বিরোধীতা দেখা যায়। যখন সেই ধর্মের অনিসারীদেরকে সেই ভূলগুলো দেখানো হয় তখন তারা বলতে থাকে ওসব বাণীতে কোন ভূল নেই। মানুষশুধু ওই বাণীগুলোর সঠিক অর্থ উৎঘাটন করতে পারে না। তারা বিশ্বাস করে ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল নেই। এমন কি তারা ধর্মগ্রন্থের ভূলগুলো সংশোধন করতে ধর্মগ্রন্থের অভ্যন্তের বাক্যগুলোর অর্থের পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে নতুন অর্থ করে নেয়। এভাবে নানা অপব্যাখ্যা হাজির করে তাদের ধর্মের সত্যতা দাবী করে থাকে। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই কম বেশী এই প্রবণতা দেখা যায়। খুব অবাক করা ব্যাপারটি হলো সবগুলো ধর্মই তাদের ধর্মগ্রন্থকে এভাবে অর্থের এবং ব্যাখ্যার পরিবর্তন করে তাদের ধর্মগ্রন্থকে সত্য বলে দাবী করে। যদিও ধর্মগ্রন্থের অর্থের পরিবর্তন করে সেটার ভূলকে সংশোধন করার পর সেখানে ধর্মগ্রন্থের কৃতিত্বটা কতটুকু অবশিষ্ট্য থাকে সেটা ধার্মীকগণ বুঝতে চান না। সব ধর্মের ধার্মিকগণই একই রকম আচরণ করে থাকে।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ধার্মিকগণ নিজেদের ধর্মগ্রন্থকে অর্থের পরিবর্তন করাকে খারাপ হিসেবে না দেখলেও ভিন্ন ধর্মের ধার্মিকদের ধর্মগ্রন্থের এমন পরিবর্তনকে ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করে।
সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই এমন দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন