প্রকৃতির অনন্য দান বুদ্ধিমান প্রাণী। বিশ্বজগতের যেকোন উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত পরিবেশে প্রাণী বা জীবের আবির্ভাব ঘটতে পারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিধি মোতাবেক। কিন্তু তাই বলে সেই জীব বা প্রাণী যদি নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে বসে থাকে সেটা কোনই সুফল দিবে না। আর তাই মানুষ শ্রেষ্ট এটা ভেবে যারা আত্মতৃপ্তি পান তারা নিজেদের দুর্বলতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন মাত্র। মানুষ জানে যে সে প্রকৃতিতে তুচ্ছ, বড়ই তুচ্ছ। প্রকৃতি তাদেরকে কিভাবে অন্য তুচ্ছ প্রাণী বা জীবের কাতারে রেখেছে সেটা সাম্প্রতিককালে মানুষ জানতে পারছে। বিশ্বজগত এতো বিশাল যার তুলনায় মানুষ খুবই নগন্য।
নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে, সৃষ্টিকর্তার প্রিয় পাত্র কল্পনা করে, পরকালের জান্নাতের আশায় যারা দিনযাপন করছে তারা মাতালের কাল্পনিক জগতে বাস করছে। মাতাল যেমন কাল্পনিক সুখ অনুভব করে ধার্মিকরাও তেমনি পরকালের কাল্পনিক সুখের কল্পনা করে শান্তি পায়। এগুলো কাল্পনিক সুখ যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। সাময়িক প্রশান্তি ব্যাতিত।
নিজেদেরকে শ্রেষ্ট ভেবে পরকালের সুখ কল্পনা করে ধার্মিক জীবন যাপন করে জগতের কোন উপকারই সাধিত করা যায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন