Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

আমি এতোদিন বাদে নিশ্চিত হয়েছি যে এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।

অনেক সংশয়, অনেক খোজাখুজির পরে আমি এতোদিন বাদে নিশ্চিত হয়েছি যে এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।
কারণ কাল রাতে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আমার সামনে এসে তার নিজের মুখে বলেছে 'তার কোনই অস্তিত্ব নেই'।
সুতরাং আস্তিকদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কোনই ভিত্তি নেই। সেটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই সাক্ষি দিয়েছেন।
তবুও কি অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা কুসংস্কার থেকে দূরে থাকবে না?

সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

কম্পিউটার ইন্টারনেটের এই যুগে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসছে।

এখন বিজ্ঞানের যুগ। কম্পিউটার ইন্টারনেটের এই যুগে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসছে। খ্রিস্টান ধর্ম থেকে, হিন্দু ধর্ম থেকে, ইসলাম ধর্ম থেকে এরকম সব ধর্ম থেকেই মানুষ বেরিয়ে আসছে। এদের বেশীর ভাগই নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে।
ইসলাম ধর্মের বর্বরতা জানতে পেরে বেশী বেশী মানুষ নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে বা অন্য কোন ধর্মে ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো মুসলমানরা একটু জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকায় এরা জানতে পারে না ইসলাম আসলে কতটা বর্বর ধর্ম। এছাড়াও অল্প শিক্ষিত ভন্ড মুসলমান ধর্ম নেতাদের নানা মিথ্যাচার, কুযুক্তি, অপযুক্তি এবং ত্যানাপ্যাঁচানো মার্কা কথাবার্তার জন্য অনেক মুর্খ, অজ্ঞ এবং অর্ধশিক্ষিত মানুষ কিছুতেই ধর্মের মিথ্যাচার, বর্বরতা ধরতে পারছে না। এজন্যই বেশীর ভাগ মুসলমানই চোখ কান বন্ধ করে গর্দভের মতো দাবী করতেই থাকে "ইসলাম শান্তির ধর্ম।"
এসব অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষাত গর্দভদের জন্যই ইসলাম শান্তির ধর্ম এই কথাটি একটি কৌতুক হয়ে গেছে। কিন্তু গাধা মুসলমানরা এটা বুঝতেই পারছে না।
এদের মধ্যে যারাই জ্ঞানী, সুশিক্ষিত এবং যুক্তিবাদী মানুষ তারাই ধর্ম থেকে, ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসছে প্রতিদিনই।

রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

প্রতিটি নাস্তিকই আস্তিকদের জন্য একেকটি এটম বোম।

প্রতিটি নাস্তিকই একেকটি এটম বোম। যেখানেই একজন নাস্তিকের উপস্থিত হয় সেখানের আস্তিকগুলো ভয়ে কাঁপতে থাকে।
যেখানেই নতুন কোন নাস্তিকের আবির্ভাব হয় সেখানেই সেই নাস্তিকের চারপাশের মানুষগুলো সেই নাস্তিককে দেখে ভয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেয়। এজন্যই আস্তিকরা চায় না তাদের আশেপাশে কোন নাস্তিক থাকুক।
নাস্তিকদের জ্ঞান, যুক্তি বুদ্ধির শক্তিতে আস্তিকরা সবসময়ই আতঙ্কিত থাকে।
আর এজন্যই যখনই কোন নাস্তিকের উপস্থিথি টের পায় তখনই এরা ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এরা নাস্তিকদের ফাঁসি দাবী করে এবং শতশত কাপুরুষ আস্তিক মিলে একজন নাস্তিককে মেরে ফেলার জন্য আক্রমন করে।
আস্তিকরা নাস্তিক এতো বেশী ভয় পায় যে তারা তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকেও এতোটা ভয় পায় না।
এমনকি তারা তাদের সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থাও হারিয়ে ফেলে শুধুমাত্র একজন নাস্তিকের ভয়ে। এজন্যই তারা সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই কাপুরুষের মতো নাস্তিকদের হত্যা করতেতৎপর হয়। তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার উপর কোন আস্থা না রেখেই এরা নাস্তিকের উপর হামলা করে। কারণ তারা জানে তাদের নপুংসক কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাটি নাস্তিকের একটি পশমও স্পর্শ করার ক্ষমতা রাখে না।
আস্তিকরা ঠিকই জানে একজন নাস্তিকের জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং যুক্তির শক্তি তাদের হাজার হাজার অন্ধবিশ্বাসীর চেয়েও অনেক বেশী শক্তিশালী।

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৭

পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে দরকার ধর্মহীন এবং মানবিক কিছু মানুষের।

পৃথিবীর সব ধর্মই এযাবৎ কাল ধরে শত বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা এবং হত্যাকান্ড চালিয়ে এসেছে। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে দরকার ধর্মহীন এবং মানবিক কিছু মানুষের। যারা মানবতায়, ভালোবাসায় পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলবে। পৃথিবী পরিনত হবে জান্নাতে, স্বর্গে।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

পৃথিবীর সব ধর্মের চেয়ে মানবতা ধর্মই শ্রেষ্ট।

মানবিকতা, মনুষ্যত্যই মানুষের একমাত্র ধর্ম। বাকী ধর্মগুলো মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। তাই পৃথিবীর সব ধর্মের চেয়ে মানবতা ধর্মই শ্রেষ্ট।

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

চলো আমরা মানবিক ধর্মের অনুসারী হয়ে যাই। এবং মানবতার চর্চা করি!

আমি যদি তোমাকে প্রশ্ন করি আমার আর তোমার মধ্যে শারীরিক কোন পার্থক্য দেখাতে পারবে? তখন তুমি কিন্তু কোন পার্থক্য দেখাতে পারবে না। তবে কেন নিজেকে হিন্দু মুসলিম, খ্রিস্টান বৌদ্ধ ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে? তাকিয়ে দেখ আমাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাই পরস্পরের মধ্যে বিভেদ তৈরী করার কোন কারণই নেই। তাই চল আমরা এক গোষ্টিতে আবদ্ধ হই। চলো আমরা মানবিক ধর্মের অনুসারী হয়ে যাই। এবং মানবতার চর্চা করি!

বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৬

ধর্মকে বিলুপ্ত করতে পারলেই কেবল আমাদের এই পৃথিবী স্বর্গের পৃথিবী হতে পারবে।

আমি নাস্তিক এবং আমি অবশ্যই ধর্মবিরোধী। ধর্মহীন হওয়ার সুবাদে আমি খুব ভালো করেই জানি যে ধর্মগুলো সত্য নয় বরং মিথ্যার সমূদ্র। আর তাই আমি জানি যে ধর্মগ্রলো শুধু পৃথিবীকে মিথ্যার অন্ধকারেই ঢুবিয়ে রাখেনি উপরন্তু ধর্ম মানুষকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী গোলাম বানিয়ে রেখেছি। এমনকি ধর্ম মানুষের বিজ্ঞান চর্চার প্রধান বাধা। ধর্মের সাথে এক রকম যুদ্ধ করে করে বিজ্ঞানকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। এখনও মিথ্যার পোষক ধর্মগুলো বিজ্ঞানের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। যতদিন পৃথিবীতে ধর্ম থাকবে ততদিন বিজ্ঞান তার পথে ধর্মকে বাধা হিসেবেই পাবে। তাই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য এবং বিজ্ঞানের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য মিথ্যার পুজারী ধর্মগুলোকে বিলুপ্ত করে দিতে হবে। তবেই আমাদের এই পৃথিবী হবে স্বর্গের পৃথিবী।

আমিও কি আস্তিক?

পৃথিবীর সব ধর্মের অনুসারীরা (আস্তিকরা) মাত্র একটি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে। যদিও পৃথিবীতে ঈশ্বরের সংখ্যা কয়েক হাজার।
আর আমি, যদিও পৃথিবীতে হাজার হাজার ঈশ্বর রয়েছে তবু্ও আমি ধার্মিক আস্তিকদের থেকে মাত্র একটি ঈশ্বকে কম বিশ্বাস করি।
তাহলে আমিও নিশ্চয় আস্তিক?

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

ঈশ্বর ডেকে বললো

ঈশ্বর হিন্দু মালুকে ডেকে বললো- তুমি আমার কথা অমান্য করেছে তাই তুমি নরকে যাও। হিন্দু মালু কাঁদতে কাঁদতে নরকে চলে গেল।

ঈশ্বর মুসলিম মালুকে ডেকে বললো- তুমি আমার কথা অমান্য করেছে তাই তুমি জাহান্নামে যাও। মুসলিম মালু কাঁদতে কাঁদতে জাহান্নামে চলে গেল।

ঈশ্বর খ্রিস্টান মালুকে ডেকে বললো- তুমি আমার কথা অমান্য করেছে তাই তুমি দোযকে যাও। খ্রিস্টান মালু কাঁদতে কাঁদতে দোযকে চলে গেল।

ঈশ্বর নাস্তিককে ডেকে পাঠালো, আর বললো- তুমি গবেষনা করে যেখ স্বর্গ নরক ঠিক ভাবে তৈরী কিনা? আর কিভাবে এদেরকে তৈরী করা হয়েছে সেই রহস্য বের করো। তুমি স্বর্গ নরকের সব সুবিধাই বোগ করতে পারো।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

এদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কে ভালো মানুষ বলে আপনার মনে হয়?

সুলেমান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়। ওদিকে নারায়ন সকাল বিকাল পুঁজা করে। মাইকেল প্রতিদিন চার্চে যায়।
কিন্তু ডঃ হাই এরকম কিছুই করে না। তিনি পুরো সময় বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে।

সুলেমান এবং নারায়নের মতো মাইকেলও দান করে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের আশায়।
কিন্তু ডঃ হাই কোন প্রতিদানের আশায় দান করেন না। তিনি মানব দরদী মন থেকে দান করেন।

সুলেমান ভাবে নারায়ন, মাইকেল, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। তারা আল্লাহকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
নারায়ন ভাবে সুলেমান, মাইকেল, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত নরকে যাবে। তারা ভগমানকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
মাইকেল ভাবে সুলেমান, নারায়ন, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত দোজকে যাবে। তারা গড এবং জেসাসকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
কিন্তু ডঃ হাই এসব কিছুই ভাবে না। তার কাছে পৃথিবীর সব মানুষই সমান। সবাই মানবিক মানুষ।


এদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কে ভালো মানুষ বলে আপনার মনে হয়?

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

আমি সবাইকে মালু ডাকি এবং ডাকবো। কারণ সব মানুষই সমান।

আমাকে যখন হিন্দু মালু জিঙ্গেস করেছিল আমি কেন সবাইকে মালু বলে ডাকি। সবাইতো হিন্দুদেরকে মালু বলে গালী দেয় তাহলে আমি কেন সব ধর্মের মানুষকে মালু বলে ডাকি!
আমি বুঝতে পারি সে আমার কাছে অভিযোগ করছে না। এক ধরণের অভিমান থেকেই সে প্রশ্নটা করেছে। (অভিমানটা আমার উপর নয়।)
আমি উত্তরে বলি যে, আমার দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষই সমান। আর তাই কোন মুসলমান বা কোন খ্রিস্টান যদি হিন্দুদের মালু বা মালুর বাচ্চা বলে গালি দেয় তবে আমার মানবতার অংশটি নাড়া দিয়ে উঠে। আমি মুসলমান বংশে জন্ম নিয়েছে বলে আমি মহামানব হয়ে যায়নি। আর তাই আমি কোন দিনই কোন হিন্দুকে মালু বলে গালি দেয়নি। উপরন্তু যদি কোন মুসলমান কোন হিন্দুকে মালু বলে গালি দিয়েছে তবে আমার খারাপ লেগেছে।
আমার কাছে যেহেতু পৃথিবীর সব মানুষই সমান আর তাই যদি হিন্দুরা মালু হয়ে থাকে তবে আমার কাছে পৃথিবীর সব আস্তিকদের মালু ভাবতে ভালো লাগে। একজন হিন্দু যদি মালু হতে পারে তবে একজন মুসলমানও মালু হতে বাধ্য। কারণ পৃথিবীর সবাই একই রকম, একই প্রকৃতির এবং সবার অধিকারই সমান। আর তাই আমি সব আস্তিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসীদেরকে মালু বলে ডাকি। আমার কাছে মুসলমান যেমন মানুষ তেমনি হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য আস্তিকরাও সমান। আর তাই যদি হিন্দুরা মালু হয়ে থাকে তবে মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ সব আস্তিকই মালু। তাই আমি সবাইকে মালু ডাকি এবং ডাকবো। কারণ সব মানুষই সমান।

রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী ধার্মিকের গল্প।



আমি এক ধার্মিককে প্রশ্ন করেছিলাম, তুমি কেন তোমার ধর্ম পালন করো আর তোমার নিজের ধর্মকে সত্য ধর্ম মনে করো?
সে উত্তরে বলেছিল, আমার ধর্ম সত্যি কারণ আমার ধর্মগ্রন্থ সত্যি
আমি তাকে যখন পাল্টা প্রশ্ন করলাম, কেন তোমার এমনটি মনে হয়?
তখন সে বিরক্তি নিয়ে বললো- আমার ধর্মগ্রন্থটির প্রতিটি বাণীই সত্যি এবং বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার তার সব গুলোই আমার ধর্মগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে
কিন্তু আমি যখন তার কাছে তার কথার প্রমাণ চাইলাম তখন সে তার ধর্মগ্রন্থের কিছু প্রাচীণ বাণী দেখালো আমি তাকে বললাম -তার এই ধর্মগ্রন্তের বাণীতে কোন বিজ্ঞানের আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে
তখন সে আমাকে কিছু বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে তার ধর্মগ্রন্থের কিছু প্রাচীণ আধো আধো বাণী দেখালো যেগুলোর অর্থ খুব সাধারণ এবং প্রাচীণ কিন্তু যখন আমি তাকে বললাম- তোমার ধর্মগ্রন্থে যে সব কথা লেখা আছে তার সাথে বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারের মিল তো নেইই বরং বিজ্ঞানের বিপরীত বা সাংঘর্ষিক কথা লেখা আছে
তখন ধার্মিকটি আমাকে তার ধর্মগ্রন্থে লেখা বাণীকে পরিবর্তন করে যেভাবে গ্রর্মগ্রন্থে লেখা আছে তার থেকে ভিন্ন অর্থ করে দেখালো বিজ্ঞানের সাথে তার ধর্মগ্রন্থের মিলগুলো
আমি তাকে জানানোর জন্য বললাম, দেখো তুমি যেভাবে ধর্মগ্রন্থের অর্থের পরিবর্তন করে ভিন্ন অর্থ এনে এবং ধর্মগ্রন্থের থেকে ভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির করে তোমার ধর্মগ্রন্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানময় দেখাচ্ছ ঠিক একই ভাবে অমুক ধর্ম, তমুক ধর্মও তাদের ধর্মকে বিজ্ঞানময় দেখিয়েছে তাহলে তোমার ধর্মগ্রন্থ যদি সত্য হয়ে থাকে তবে তাদের ধর্মগ্রন্থও একই ভাবে সত্য তখন ধার্মিকটি কোন কারণ ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত রেগে গেল তার চোখ লাল হয়ে উঠলো এবং শেষে সে তার পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমার দিকে তাক করলো টিগার চাপার আগেই আমার প্রতিরক্ষা রোবট দুটো আমার সামনে দাড়িয়ে তাদের অস্ত্র বের করে ধার্মিকটিকে গুলি করে দিলো
আমি দেখলাম ধার্মিকটির দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে পরলো তার দেহ থেকে ছোট ছোট ইলেক্ট্রিক তার বেরিয়ে এসেছে মাথাটা দশ বারো হাত দুরে পড়ে রয়েছে দেহ থেকে আলাদা হওয়া মাথাটার নিচে দুটো মোটা ইলেক্ট্রিক তার পরস্পরের সাথে বারবার লেগে যাচ্ছে আর স্পার্ক করে আগুন বের হচ্ছে কিন্তু তার মুখ দিয়ে অনবরত বলে যাচ্ছে একটি কথা- আমার ধর্মগ্রন্থটিই একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ আমার ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম ...আমার ধর্মগ্রন্থটিই একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ আমার ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম.....
আমি ধার্মিক রোবটটির দিকে তাকিয়ে তার জন্য মায়া অনুভব করতে থাকি মনে মনে ভাবি - যদি পৃথিবীর প্রাচীণ মানুষ এসব কাল্পনিক মিথ্যে ধর্মগুলো আবিষ্কার না করতো তবে প্রতিদিন হাজার হাজার রোবটকে ধ্বংস করতে হতো না প্রাচীণ মানুষের প্রাচীণ খাম খেয়ালীর জন্যই মানুষের উপকারী আবিষ্কারটিকে ধ্বংস করে বিশাল আর্থিক ক্ষতি করতে হচ্ছে এই ক্ষতি পুষাণো মানুষের জন্য খুব কষ্টকর হবে
আমি সেই প্রাচীণ অজ্ঞ মানুষদের জন্য ঘুনা অনুভব করতে থাকি নিজের অজান্তেই

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৬

আমিতো দোজকেই যেতে চাই। কারণ আমি ধর্মহীন মুক্ত চিন্তার অধীকারী।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎযাপন করলাম। মদ খেলাম, আরো কিছু হারাম খাবার খেলাম। ধর্মে যেসব খাওয়া মহা পাপ সেসব হালাল করে নিলাম। কারণ আমি ধর্মহীন। মানবধর্মের অনুসারী আমি। তাই কাউকে ক্ষতি করে না এমন যেকোন কিছুই আমার জন্য হালাল। আমি ধর্মের হারামকে মানী না।।
কি শাস্তি হবে আমার? নরকে বা দোজকে যাব। আমিতো দোজকেই যেতে চাই। পৃথিবীর শ্রেষ্ট এবং জ্ঞানী মানুষেরা যাবে নরকে। আর তাই আমি দোজকে যেতেই চাই। গরু ছাগলদের সাথে থাকা মানুষদের সাথে স্বর্গে থাকাতে আমি মজা পাব না। তাহলে মূর্খদের স্বর্গে যেয়ে আমি কি করবো? বরং আমি যাব নরকে। পৃথিবীর শ্রেষ্ট এবং জ্ঞানী মানুষদের সাথে থাকতে পারাই আমার কাছে স্বার্থকতা। তাই আমি নরকেই যাব। কেউ আমাকে ফেরাতে পারবে না। কাল্পনিক ঈশ্বরও নয়। কারণ আমি ধর্মহীন মুক্ত চিন্তার অধীকারী।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

বছরটি হোক সত্যের কর্নধার ধর্মহীনদের।

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে। গেল বছরের মত যেন মুক্তচিন্তকগণ কর্তৃক আগামী বছরটিও ধর্মের মুখোশ উন্মোচনে মুখর থাকে। নাস্তিকগণ এবং মুক্তমনের মানুষগণ যেন ধর্মের কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মানুষদেরকে মুক্ত করতে স্বার্থক ভূমিকা রাখতে পারে। নতুন বছরটিও যেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদিগদের ১০০% স্বর্থকতার সাথে পরাজিত করণ অব্যাহত রাখতে পারে। মিথ্যার সংকলণ ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থের মৃত্য ঘটিয়ে বাস্তব জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের সত্যের আলো জ্বালাতে পারে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। যাতে মিথ্যার ধর্মের বাঁচার আর কোন পথ না থাকে। আমিন না বলে বলুন "চলো আমরা সত্য বানাই"।
আগামী বছরটি হোক সত্যের কর্নধার ধর্মহীনদের।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

সবাইকে অগ্রীম হ্যাপি নিউ ইয়ার।

আসছে ইংরেজী নববর্ষ উৎযাপনে সবাইকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। ধর্মহীনদের অনুষ্ঠান আছে কিন্তু কোন ধর্মীয় উৎসব নেই। তাই নাস্তিক মুক্তচিন্তাকারীদের সব ভালো উৎসবই তাদের ধর্মীয় উৎসব। আর এই উৎসব কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি মানবধর্মের উৎসব। তাই পৃথিবীর সব ভালো উৎসবই মানবতা ধর্মের অনুসারীদের নিজের উৎসব। আর তাই ইংরেজী নববর্ষকে আমরা গর্বের সাথেই উৎযাপন করবো। সবাইকে অগ্রীম হ্যাপি নিউ ইয়ার।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

ধর্মবেত্তাগণ প্রায়ই দাবী করে থাকে যে তাদের ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আর তাই তাদের ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল বা পরস্পর বিরোধীতা নেই। কিন্তু সেই ধর্মের অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা ছাড়া সবাই ওই ধর্মগ্রন্থটিতে অসংখ্য ভূল, মিথ্যাবাণী এবং পরস্পর বিরোধীতা দেখা যায়। যখন সেই ধর্মের অনিসারীদেরকে সেই ভূলগুলো দেখানো হয় তখন তারা বলতে থাকে ওসব বাণীতে কোন ভূল নেই। মানুষশুধু ওই বাণীগুলোর সঠিক অর্থ উৎঘাটন করতে পারে না। তারা বিশ্বাস করে ধর্মগ্রন্থে কোন ভূল নেই। এমন কি তারা ধর্মগ্রন্থের ভূলগুলো সংশোধন করতে ধর্মগ্রন্থের অভ্যন্তের বাক্যগুলোর অর্থের পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে নতুন অর্থ করে নেয়। এভাবে নানা অপব্যাখ্যা হাজির করে তাদের ধর্মের সত্যতা দাবী করে থাকে। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই কম বেশী এই প্রবণতা দেখা যায়। খুব অবাক করা ব্যাপারটি হলো সবগুলো ধর্মই তাদের ধর্মগ্রন্থকে এভাবে অর্থের এবং ব্যাখ্যার পরিবর্তন করে তাদের ধর্মগ্রন্থকে সত্য বলে দাবী করে। যদিও ধর্মগ্রন্থের অর্থের পরিবর্তন করে সেটার ভূলকে সংশোধন করার পর সেখানে ধর্মগ্রন্থের কৃতিত্বটা কতটুকু অবশিষ্ট্য থাকে সেটা ধার্মীকগণ বুঝতে চান না। সব ধর্মের ধার্মিকগণই একই রকম আচরণ করে থাকে।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ধার্মিকগণ নিজেদের ধর্মগ্রন্থকে অর্থের পরিবর্তন করাকে খারাপ হিসেবে না দেখলেও ভিন্ন ধর্মের ধার্মিকদের ধর্মগ্রন্থের এমন পরিবর্তনকে ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করে।
সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই এমন দ্বিমূখী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।