Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫

একজন মমেনা এবং নাস্তিক ব্লগার ।

মমেনা খুব ধার্মিক মেয়ে। সে বাইরে বের হবার সময় খুব ভালো করে পর্দা করে নেয়। চোখটাও ঢেকে রাখে। সারা জীবনে সে একবারের জন্যও পর পুরুষের সামনে নিজের মুখ দেখায়নি। সে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আজ পর্যন্ত কোন সহপাঠি ছেলে তার মুখ দেখতে পারেনি। ক্লাসের সবাই ওকে পরহেজগার বলে ডাকে। তাতে অবশ্য ওর খারাপ লাগে না বরং পরহেজগার শুনতে তার ভালোই লাগে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সে নিজেকে নিয়ে গর্বই করে। কারণ সে নামাজ পড়ে, সে সব সময় পর্দা করে চলাফেরা করে, তাই সে অন্যদের থেকে উত্তম; এটা ভেবে ওর গর্ব অনুভব হয় নিজেকে নিয়ে।

একদিন ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে গের তার। সে ইউনিভার্সিটির বাসটা মিস করে ফেলে। লোকাল বাসে আসতে তার অনেক দেরী হয়ে যায়। কারণ বাসে এতো ভির ছিল যে ছেলেদের যন্ত্রনায় ও বাসেই উঠতে পারেনি। বাসে কোন সিট ছিল না। সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়েই যাচ্ছিল। মেয়েরাও ধাক্কা ধাক্কি করে বাসে ওটে পড়লো। কিন্তু মমেনা বাসে উঠতে পারলো না। তারপক্ষে ছেলেদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে বাসে ওঠা সম্ভব নয়। সে পরহেজগার মেয়ে। তাই সে পরপুরুষের গায়ের সাথে নিজের শরীর স্পর্শ হতে দিতে পারে না। যে করেই হোক ইমান নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
ফলে সন্ধা লেগে গেল ফাকা বাস পেতে। দেরী না করে উঠে পরলো সে। বাস থেকে নামার পরে ঘরিতে সময় দেখে নিল মমেনা। সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। ওর বাসা এখান থেকে হাটা পথে বিশ মিনিটের পথ। রিকসা খুজলো কিন্তু কোন রিকসাই যেতে রাজি হলো না। এদিকে রাতও বেড়ে যাচ্ছে। অগত্যা হাটা শুরু করলো ও। দশ মিনিট হেটে এসেছে। রাস্তার এই অংশটা একদম নিরব। কোন মানুষ জনই নেই এখানে। এখানে ল্যাম্পপোস্টও নষ্ট হয়ে থাকে সব সময়। জায়গাটা ভালো না। এখানে প্রায় প্রায়ই ছিন্তাই হয়। ওরাই হয়তো এখানের ল্যাম্পপোস্টের লাইঠ নষ্ট করে রাখে নিজেদের সুবিধার জন্য। দিনের বেলাতেই এখানে একদম ফাঁকা থাকে। রাত পৌনে দশটায় একেবারে নিরব চারদিক। ভয়ে ভয়ে রাস্তাটা পার হয়ে যাচ্ছে আর মনে মনে প্রার্থনা করছে, হে আল্লাহ এই যাত্রায় আমাকে বাঁচিয়ে দাও। তুমি রহমান রহিম, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই আমাকে বাঁচাবার। আমি জানি আমি তোমার প্রিয় বান্দা, আর তাই আমাকে তুমি বাঁচাবেই। আমি তওবা করে বলছি, আমি আর জীবনে কোন দিনই বাস মিস করবো না। হে রহমানুর রাহিম, তুমি সর্ব শক্তিমান। তুমি ছাড়া আর কোনই ইলাহি নেই। এই যাত্রায় তুমি আমাকে বাঁচাও।
মমেনার প্রার্থনা হয়তো কবুল হয়েছে। দুজন লোক সামনে থেকে এগিয়ে আসছে রাস্তা ধরে। ওর দেহে প্রাণ ফিরে আসলো- যাক কেউ তাহলে আছে। সে একা নয়। ভয়টা একটু কমে যায় মমেনার।
লোক দুটো কাছে এসে মমেনার সামনে এসে দাঁড়ালো। রাস্তার পাশে কোনার অন্ধকার থেকে আরো ছয় সাত জন লোক এসে ওকে ঘিরে ফেললো। "আল্লাহ আমাকে বাঁচাও", বলে বিকট চিতকার দিয়ে ওঠলো মমেনা।

সাত দিন পর। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে মমেনা। মনে অস্বীম ক্রুধ নিয়ে এক পলকে তাকিয়ে আছে অদৃশ্যের দিকে। কার ওপরে এই ক্রুধ বোঝা গেল না। আত্বীয় সজন অনুমান করলো এই ক্রুধটা হয়তো সেই বর্বরদের উপর যারা ওর এই অবস্থা করেছে।
কিন্তু মমেরার ক্রুধ সেই বর্বরদের উপরে নয়। তার ক্রুধ সেই মহান স্বত্ত্বাটির উপর যার এবাদতে সে তার সারাটি জীবন উতসর্গ করেছিল। হয়েছিল পরহেজগার। কিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তা যাকে সে সারা জীবন রব বলে প্রার্থনা করে এসেছে সেই রব তাকে রক্ষা করেনি। পনেরো জন নরপিশাচ সারা রাত ধরে ওর উপরে অমানুষিক অত্যাচার করেছে আর ও প্রাণ পণে চিতকার করে সেই রবের কাছে সাহায্য চেয়েছে। কিন্তু কেও তাকে রক্ষা করেনি। কোন দয়াময় প্রভু তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। সে অমানুষিক যন্ত্রনায় কাতরেছে আর সৃষ্টিকর্তার একটু দয়া ভিক্ষা চেয়েছে। কিন্তু সেই দয়াময় তাক নরপশুদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেনি।
তাই জগতের সমস্ত ক্রুধ সেই রবের উপরে যার ইবাদত করে এসেছে সারাটি জীবন।

এই ঘটনা নিয়ে সারা দেশে অনেক তুলপাড় হয়েছে। সারা দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অপরাধিদেরকে শাস্তি দেবার জন্য অনসন করছে। সাধারণ মানুষ সেই অমানুষদের প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু দেশের একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষ মুখ বাঁকা করে অনলাইনে নানা উপদেশ নামা ঝেরেছে- "ওই মেয়ে এতো রাতে কেন রাস্তায় বেড়িয়েছিল? পর্দা না করে রাস্তায় বের হলেতো এমনটা হবেই! মেয়েরা থাকবে বাড়ির ভিতরে। ওকে রাস্তায় যেতে বলেছে কে? পর্দা ছাড়া রাত বিরাতে রাস্তায় বের হবে আর এতে ধর্ষিত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। ধর্ষকদের যতটা না দোষ তার চেয়ে বেশী দোষ ওই মেয়েটিরই।

এক বছর পর। মমেনা বেঁচে আছে খুব ভালো করে। সে ইউনিভার্সিটিতে যায়। তার একটাই স্বপ্ন গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা। সে এখন আর পর্দা করে না। বাস মিস করলেও তার ভয় নেই। সে ভিরের মধ্যে বাসে ওঠে যায়। ইউনিভার্সিটার বন্ধু বান্ধবিও অনেক। সারা জীবন যাদেরকে মুনাফেক কাফের বলে গালি দিয়ে এসেছে, সারা জীবন যাদেরকে লাফাংগা শয়তান বলে মনে মনে গালি দিয়ে এসেছে, তারাই তার বিপদের সময় পাশে দাড়িয়েছিল। পাঁচবার আত্বহত্যা করতে চেয়েছিল মমেনা। কিন্তু এই মুনাফেক কাফির গুলোই ওকে বাঁচিয়ে তুলেছে। সান্তনা দিয়ে বাঁচার প্রেরনা যুগিয়েছে। সব সময় সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছে এই লাফাঙ্গা শয়তান গুলোই। সব সময় যাদেককে ও কাছে ঘেষতে দেয়নি আজ ওরাই তার একমাত্র বেঁচে থাকার প্রেরণা। ওরাই আপনজন। ওরাই বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে থাকা ওর প্রিয় বন্ধু।
এখন মমেনা নামাজ পড়ে না এক বারও। পর্দা করে না কখনই। ভীর ঠেলে বাসে উঠে যায়। তাই বাসায় ফিরতে দেরী হয় না আর। নরপশুদের খপ্পরেও তাকে পরতে হয়নি কখনই।
সে আর পরহেজগার নেই। অনলাইনে সে নিয়মিত লেখালেখি করে। দেশে এখন সে পরিচিত এক নাম। ব্লগার মমেনা। সবাই চেনে ওকে।
কিন্তু একটা শ্রেণীর মানুষ তাকে এখন ঘৃনা করে। তাকে তারা গালাগালি করে। তারা তাকে গালি দেয় নাস্তিক ব্লগার বলে।

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

ধার্মিকরা কি ভালো?

ধর্মের নামে এতো এতো মানুষ হত্যা করা হয়েছে মানব ইতিহাসে। এরপরেও কি কোন সুস্থ স্বাভাবিক ভালো এবং মানবিক মানুষ ধর্মকে অনুসরন করতে পারে?
ধর্ম অনুসরন করে স্বার্থপর, ভীতু এবং লোভী মানুষ। তারা নরকের ভয়ে এবং স্বর্গের লোভে ধর্মকর্ম করে। মানুবতার জন্য নয়।

নাস্তিকদের মন্দির বা উপাসনালয়ের থেকে বড় উপাসনালয় পৃথিবীতে আছে কি?


সৃষ্টিকর্তা কি দয়াময়? সৃষ্টিকর্তা কি মহত?

যদি দাবি করি আমি নবী এবং যদি বলি যে, তোমরা আমাকে মান্য কর। যদি আমাকে মান্য কর তবে আমি তোমাদেরকে অনেক টাকা দেবো। আর যদি না মানো তবে কল্লা কেটে ফেলবো, আগুনে পুড়িয়ে ফেলবো, পানিতে ঢুবিয়ে মারবো এবং মারার আগে অমানুষীক যন্ত্র্র্রনা দেবো। তবে কি সেটা খুব ভালো মানুষের মতো কাজ হবে?
এরকম করলে সবাই কিন্তু আমাকে শয়তান-বদমাস বলে গালি দেবে।
ঠিক একই কাজ সৃষ্টিকর্তা করার পরেও মানুষ তাকে দয়াময়, মহত ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকে।
এজন্যই আস্তিকরা হলো অদ্ভুত এক প্রাণী।

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

ধর্মই যত অধর্মের মূল।

ধর্ম যদি পৃথিবীতে না থাকতো তবে মানুষ আরো অনেক আগেই সভ্য হয়ে যেতো।
ধর্ম আছে বলেই পৃথিবীতে অন্যায় অত্যাচার এখনও টিকে আছে।
ধর্মই যত অধর্মের মূল।

তিন মালুতে দোস্তি।

মুসলমান মালু চুপচাপ বসে ছিল। তার মনটা খুব খারাপ।
এমন সময় হিন্দু মালু আসলো তার কাছে। এসেই অনর্গল কথা শুরু করে দিল। একবার অবশ্য মুসলমান মালুর দিকে তাকিয়ে জিঙ্গের করেছিল, "তোর মন খারাপ কেন"?
কিন্তু উত্তরের আশা করেনি। সে কথা বলেই যাচ্ছে।
অনেকক্ষন পর খ্রিস্টান মালু তাদের কাছে এসে বসলো। সে বসেই কথা বলা শুরু করে দিল। হিন্দু মালু খ্রিস্টান মালুর কাছে পাত্তা না পেয়ে চুপ করে গেল। খ্রিস্টান মালুর বকবক চলতেই থাকলো।
কিছুক্ষন পর মুসলমান মালুর মনটা ভালো হযে গেলো।
"হিন্দু মালু আর খ্রিস্টান মালুটা তার জীবনে না থাকলে জীবনটা পানসে হয়ে যেতো।" মনে মনে ভাবলো মুসলিম মালু।

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০১৫

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ত্বের আস্তিকীয় প্রমাণ। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের সপ্ততত্ত্ব প্রমাণ। পর্ব ২

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ত্বের আস্তিকীয় প্রমাণ। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের সপ্ততত্ত্ব প্রমাণ।
১. সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে, এটা একটা সত্য কথা। সুতরাং প্রমানিত হলো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে।
২. আকাশে কি সুন্দর তারকাগুলো জলজল করে। সৃষ্টিকর্তা না থাকলে কি ওগুলো এমন করে জলতো?
৩. সৃষ্টিকর্তা যদি নাই থাকবে তবে আমরা নি:শ্বাস নেই কিভাবে? অতএব অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আছে।
৪. সৃষ্টিকর্তা বলেছে, সে নাস্তিকদেরকে সৃষ্টি করেছে নরকের শাস্তি দেবার জন্য। আর নাস্তিকরা নরকেই যাবে। অতএব প্রমানিত হলো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে।
৫. বিড়ালটা পুকুরে পড়ে ঢুবে যাচ্ছিল। তখন একটা লোক বিড়ালটাকে বাঁচালো। যদি সৃষ্টিকর্তা ওই লোকটাকে না পাঠাতো তবে কি বিড়ালটা বাঁচতে পারতো? অতএব অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আছে।
৬. সৃষ্টিকর্তা আমাদে সবাইকে মৃত্যুর পরে আবার বাঁচিয়ে তুলবে পাপ পুণ্যের বিচার করার জন্য। যদি সৃষ্টিকর্তা না থাকতো তবে কে আমাদের পাপ পুন্যের হিসাব নেবে? সুতরাং সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছে।
৭. সৃষ্টিকর্তাকে আমি গতকাল স্বপ্নে দেখেছি। যদি সৃষ্টিকর্তা নাই থাকবে তবে আমি তাকে স্বপ্নে দেখলাম কিভাবে। অতএব এটা সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হয় যে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে।

বি.দ্র.: আস্তিকরা এভাবেই চিন্তা করে অভ্যস্ত। তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

ধর্ম বনাম রিলিজিওন (প্রার্থনা ধর্ম)

ধর্ম যখন গুন বা বৈশিষ্ট্য তখন মানবতাই হলো শ্রেষ্ট ধর্ম।
ধর্ম যখন কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তখন নৈতিকতাই হলো শ্রেষ্ট ধর্ম।
প্রার্থনা ধর্ম বা রিলিজিওন-এর কোন মূল্য নেই মানুষের জীবনে।

তুমি আমি দুজনেই মানুষ।

তুমি আমি দুজনেই মানুষ।
হও তুমি হিন্দু বা খ্রিস্টান অথবা মুসলমান,
তুমি আমি দুজনেই মানুষ।
হও তুমি সাদা অথবা কালো, নারী অথবা পুরুষ।
তুমি আমি দুজনেই মানুষ।

ধর্ম বনাম নৈতিকতা - ২

ধর্ম বলে, যা বলি সেটাই করো হোক সেটা ভুল।
নৈতিকতা বলে, যেটা সঠিক সেটাই করো যে যাই বলুক না কেন।
নৈতিকতা আর ধর্ম সম্পূর্ন বিপরীত ব্যাপার।

সবার উপরে মানুষ সত্য।

 সবার উপরে মানুষ সত্য।
মানুষ বই তৈরী করেছে। বই কখনই মানুষ তৈরী করেনি।
মানুষ ধর্ম তৈরী করেছে। ধর্ম মানুষ তৈরী করেনি।
কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাদেরকেও মানুষই সৃষ্টি করেছে। কাল্পনিক ওই সব সৃষ্টিকর্তাগুলো মানুষকে তৈরী করেনি।
তাই সবার উপরে মানুষই সত্য। মানুষগুলো যা তৈরী করেছে সেগুলো নয়।

নাস্তিকদের প্রতীক

সব ধর্মেরই প্রতিক বা সিম্বল আছে। এই সিম্বল বা প্রতীকগুলো দেখে মানুষকে চেনা যায় সে কোন ধর্মের আস্তিক।
তাহলে নাস্তিকদের প্রতীক থাকবে না কেন? নাস্তিকদের প্রতীক বা লগো:

নৈতিকতা বনাম ধর্ম

তোমাকে যেটাই বলা হোক না কেন, যেটা সঠিক এবং ভালো সেটা করাই হল নৈতিকতা।
সঠিক বা ভালো হোক বা না হোক, তোমাকে যা বলা হবে সেটা অন্ধভাবে করাই হলো ধর্ম।

তিন মালুর বন্ধুত্বতা ।

তিন মালুতে খুব ভাব। এক মালু আরেক মালুকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারে না। কেউ কাউকে ছেড়ে চলে যায় না। তিন বন্ধু এক সাথেই থাকে সব সময়। একই ক্লাসে, একই স্কুলে, একই কলেজে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। চাকরীও একই সাথে করেছে। বিয়ে করে একই এপার্টমেন্টে উঠেছে। তিন মালুর পরিবারের মধ্যেও খুব আন্তরিকতা। ওরা সবাই ঠিক করে রেখেছে জীবনের প্রতিটা ক্ষন এক সাথেই কাটিয়ে দেবে। এমনকি তারা তাদের কথা রেখেছে। সব সময়ই তিন মালু খুব ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে তাদের জীবন কাটিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু তারা সপ্তাহের একটা দিন কিছুটা সময় পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছে। একজন মালু গিয়েছে চার্চে, আরেকজন মালু গিয়েছে মন্দিরে এবং তিন নাম্বার মালু গেছে মসজিদে।
তা ছাড়া সব কিছুতেই ছিল তিন জন ভালো বন্ধু, ভালো সাথি এবং ভেদাভেদহীন তিনজন মানুষ।

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

মানুষে মানুষে বিভাজন কোন অতিক্ষমতাবাণ কেউ তৈরী করে দেয়নি। মানুষে মানুষে বিভেদ মানুষ নিজেই তৈরী করেছে।


আস্তিকরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এতো পিছিয়ে কেন?

দুই বন্ধু রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল।
প্রথম বন্ধু বললো- আচ্ছা বলতো আস্তিকরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এতো পিছিয়ে কেন?
দ্বিতীয় বন্ধু বললো- কেন আবার তারা পড়াশুনা করে না বলে।

প্রথম বন্ধু বাধা দিয়ে বললো- না না, কথাটা তুই ঠিক বললি না! আস্তিকরাও পড়াশুনা করে।
দ্বিতীয় বন্ধু বললো- তাহলে আস্তিকরা কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে?

প্রথম বন্ধু একটু মিষ্টি হেসে বললো- কারণ তারা তাদের ধর্ম গ্রন্থকে সব চেয়ে বড় বিজ্ঞান মনে করে। চিন্তা করে দেখ, যদি আস্তিকরা দেড় দুই হাজার বছর আগের স্বাধারণ অজ্ঞ মানুষের লেখা গ্রন্থকে সব চেয়ে বড় জ্ঞান মনে করে, জ্ঞান বিজ্ঞানকে অবজ্ঞা করে, তবে তারাতো এমনিতেই পিছিয়ে যাবে। মানুষ কত নতুন নতুন জ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছে, তারা সৌর জগত ছাড়িয়ে বিশ্বজগত, এমনকি মাল্টি বিশ্বজগতের দিকে হাত বাড়িয়েছে, আর আস্তিকরা কিনা পড়ে আছে সেই প্রাচীনকালের কিছু অতি স্বাধারণ বই নিয়ে। তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকবে নাতো কে থাকবে?

সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫

কেন পৃথিবিতে আস্তিক বেশি ?



বাচ্চা- মা তুমি নাস্তিককে এত ভয় পাও কেন?
আস্তিক মা- কারন সে নাস্তিক, সে শয়্তান

বাচ্চা - কিন্তু আম্মু সেতো মানুষ
আস্তিক মা- সে মানুষ হলেও সে আসলে শয়্তান

বাচ্চা- কিন্তু আম্মু, সেতো আমাকে খুব আদর করে, সেতো খুব ভাল!
আস্তিক মা- খবর দার আর তার সাথে মিশবে না !

বাচ্চা- মিশলে কি হবে?
আস্তিক মা- তাহলে সে তোমাকেও শয়্তান বানিয়ে দেবে

বাচ্চা- কিন্তু মা আমিতো মানুষ আমাকে কিভাবে শয়্তান বানাবে?
আস্তিক মা- আর যদি ওকে নিয়ে এক টা কথাও বল তবে থাপ্পর খাবে

বাচ্চা ভয়ে আর কোন প্রশ্ন করলো না এভাবেই বাচ্চারা প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকে আর অন্ধআনুগত্ত করা শিখে

রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

আমার ভাইকে ওরা মেরে ফেলেছে, আমি কি চুপ কে বসে থাকবো?

জৈনেক ব্লগারের নিকট আত্বীয়- আজ খবরে শুনলাম একজন ব্লগারকে মেরে ফেলেছে! তুমি এসব ছেড়ে দাও, না হয় তোমাকেও মেরে ফেলবে।
জৈনেক ব্লগার- ওরা কয়জনকে মেরে ফেলবে? একজনকে মারবে হাজার জন তার পাশে দাড়াবে।
আত্বীয়- না তুমি এসব করো না। ওরা হামায়ুন আজাদকে মেরে ফেলেছে, এরা রাজিবকে মেরে ফেলেছে, আর অভিজিতকেও মেরে ফেললো; যদি তোমাকেও মেরে ফেলে! আমার ভীষন ভয় করে!

ব্লগার- ভয়ের কিছু নেই। এরা কাপুরুষ বলে লেখার বদলে অস্ত্র তুলে নেয়। এরা শক্তিশালি নয়। তাই ওরা চোরের মতো এসে মানুষ মেরে যায়। আমরা সাহসী তাই আমরা বুক ফুলিয়ে মিথ্যের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করি। ওরা ভীতু, কাপুরুষ; ওরা আমাদের কিছুই করতে পারবে না।

আত্বীয়- তবুও আমি চাইনা তোমার কিছু হোক।
ব্লগার- না আমি কিছুতেই থামবো না। ওরা আমার ভাইকে মেরেছে। আমি ওদের কুসংস্কারের উপর আঘাত হানবো। ভেঙ্গে দেবো ওদের সাম্প্রদায়িকতা। মিথ্যে অন্ধ বিশ্বাসকে বিলুপ্ত করে দেবো পৃথিবী থেকে। ভাই হত্যার প্রতিশোধ নেবো।

আত্বীয়- কেন নেবে? যারা মারা গেছে ওরা তোমার কেও হয় না।
ব্লগার- না, ওরা আমার ভাই। রাজিব আমার ভাই, অভিজিত আমার ভাই। আমার ভাইকে ওরা মেরে ফেলেছে, আমি কি চুপ কে বসে থাকবো? প্রতিশোধ নেবো না। ওদের অস্ত্র তলোয়ার আর আমাদের অস্ত্র কলম, কিবোর্ড। প্রতিশোধ আমরা নেবই !