Translate

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশে যেভাবে ধর্মচর্চা করা হয় সেটা পৃথিবীতে নজীর বিহীন।

বাংলাদেশে যেভাবে ধর্মচর্চা করা হয় সেটা পৃথিবীতে নজীর বিহীন। এতো এতাে মসজিদ, দিনে পাঁচ বেলা হুক্কা হুয়া আযান, কান একে বারে ঝালাপালা। কিছু কিছু মন্দির, পুঁ পুঁ আর উলু উঁলুতে মাথা ধরার অবস্থা।
মুসলমান দেশ হওয়ায় মুসলমানদের দাপট। হিন্দুরা লেজ গুটানো কুকুরের মতো সব সময় একটা মাথা নিচু করা ভাব নিয়ে থাকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য। আর মুসলমানরা নিজেদেরকে হিন্দুদের থেকে উন্নত মনে করে। তাদের দাবী তাদের আল্লাহ হিন্দুদের ভগমানের থেকে বেশী শক্তিশালী। মুসলমানদের দাবী আল্লাহ সত্য কিন্তু হিন্দুদের ভগমানের কোন অত্বিত্ত্ব নেই। হিন্দুরা মুর্তিকে সৃষ্টিকর্তা ভাবে বলে  মুসলমানরা আল্লাহকে নিয়ে গর্ব বোধ করে। কারণ হিন্দুরা সৃষ্টিকর্তাকে মাটির পুতুলের মধ্যে রেখেছে বলে ভগমানের কোন দামই থাকেনি। অপরদিকে আল্লাহ নিরাকার তাই তারা আল্লাহকে কোন পুতুল হিসেবে কল্পনা করে না। আল্লাহ আকাশের উপর হওয়ার আল্লাহর সম্মান সব থেকে বেশী। আর মুসলমানরা হিন্দুদেরকে নিয়ে প্রায়ই হাসাহাসি করে আর খুটা দিয়ে বলে মাটির মুর্তিকে সৃষ্টিকর্তা ভাবতে পারে শুধু মুর্খরা। আল্লাহ  সর্বশক্তিমান আর তাই তাকে মুর্তির মধ্যে বেধে রাখা যায় না। হিন্দুদেরকে তারা মালু বলে গালী দেয়।
কিন্তু মুসলমানরা এটা চিন্তা করে না যে, তারাও পাথরকে পুঁজা করে। কাবা ঘরে যে পাথর আছে সেটাকে পুঁজা করাতো মুর্তি পৃজারই সতো।
কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদেরকে গালী দিলেও নিজেদেরকে কখনই মালু বলে না।
মুর্তি পুঁজা করে যদি হিন্দুরা মালু হয়ে থাকে তবে পাখর পুঁজা করায় মুসলমানরাও মালু। আর মালুতে মালুতে ভাই ভাই ।
কিন্তু হিন্দু মালু আর মুসলমান মালুরা কখনই একে অপরের ভাই হয় না। এ ওকে বাঁশ দেয়ার ধান্ধায় থাকে আর ও একে বাঁশ দেওয়ার ধান্ধায় থাকে।
এভাবেই এ দেশে (এবং পার্শ্ববর্তী ইন্ডিয়াতে) হিন্দু মালু আর মুসলমান মালুরা একে অপরকে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে।
এই দুই মালুদের এসব কার্যকলাপ দেখে অবশ্য নাস্তিক মানবতাবাদী মানুষগুলো ধর্মের পেছনে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন মালুরই হুঁশ হচ্ছে না।
এভাবেই ধর্মবাদী মালুরা এদেশে বাস করে যাচ্ছে।
অবশ্য ইদানিং নাস্তিক মানবতাবাদীরা মাথা তুলে দাড়াচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণে। আগে অবশ্য মুসলমান মালুগুলো ষাঁড়ের মতো গুততে আসতো। কিন্তু ইন্টারনেট আসার কারণে তারা নাস্তিক মানবতাবাদীদেরকে কিছু করতে পারছে না। অবশ্য নাস্তিক মানবতাবাদীদেরকে মুহাম্মদিয় কায়দায় গালাগালি করে ইমানী দায়িত্ব পালন করতে এরা কখনও দিধাবোধ করে না।
সর্বপরি এ দেশে মুসলমান মালুরাই রাজত্ব করছে। হিন্দু মালুরা এবং অন্যান্য ধর্মের মালুরা কোন রকমে প্রান নিয়ে মালুগিরি অর্থাৎ ধর্মকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন