কুরআনে মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন,
“আমি পৃথিবীতে ভারী
বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি,
যাতে তারা পথ প্রাপ্ত
হয়।”
(২১:৩১)
“তিনি খুঁটি ব্যতীত
আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে
নিয়ে ঢলে না পড়ে” (৩১:১০)
“এবং তিনি পৃথিবীর উপর
বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন,
যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত
হও।”
(১৬:১৫)
"বল তো কে পৃথিবীকে
বাসোপযোগী করেছেন এবং তার মাঝে মাঝে নদ-নদী প্রবাহিত করেছেন এবং তাকে স্থিত রাখার জন্যে
পর্বত স্থাপন করেছেন...." (২৭:৬১)
উপরের আয়াতগুলো থেকে
বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত এজন্য সৃষ্টি করেছেন যেন পৃথিবী কোন এক দিকে
কাঁত হয়ে পড়ে না যায়। এমনকি পৃথিবী যেন কেঁপে না উঠে অর্থাৎ ভূমিকম্প যেন না হয় সেজন্যই পৃথিবীতে পাহাড়-পর্বত
স্থাপন করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
সুতরাং একথা চরম সত্য
যে পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপনের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীকে স্থির রেখেছেন
যেন পৃথিবী কোন এক দিকে কাঁত হয়ে না পড়ে যায় এবং না কেঁপে উঠে অর্থাৎ ভূমিকম্প যেন
না হয়। আল্লাহ পৃথিবীকে স্থির
রাখার জন্য পাহাড় পর্বত স্থাপন করলেন এবং পৃথিবীর হেলে পড়া এবং কেঁপে উঠা থেমে গেল।
আর আমরা লক্ষ করেছি
যে পৃথিবী কোন দিকে কাঁত হয়ে পড়ে যায় না। অর্থাৎ কুরআনের কথা সত্য। কারণ কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পৃথিবীতে পাহাড়
পর্বত এজন্য সৃষ্টি করেছেন যেন পৃথিবী কোন দিকে কাঁত হয়ে পড়ে না যায়। আর বাস্তবেও সেরকমটিই
হয়; অর্থাৎ পৃথিবী কোন
এক দিকে কাঁত হয়ে পড়ে যায় না।
অর্থাৎ কুরআনের কথা
সত্য। আর তাই কুরআন সত্য।
আর সেই সত্য কুরআন
যখন বলে যে, পৃথিবীতে ভূমিকম্প যাতে না হয় সেজন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে পাহাড়
পর্বত স্থাপন করেছেন তবে সেটা অবশ্যই সত্য হবে। কারণ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কখনই মিথ্যে
কথা বলতে পারেন না।
সুতরাং কুরআন অনুযায়ী
আল্লাহ পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত নাযিল করেছেন আর সাথে সাথে সব ধরনের হেলে দুলে উঠা এবং
কেঁপে উঠা অর্থাৎ ভূমিকম্প হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থাৎ পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করার পরে পৃথিবীতে
আর কোন ভূমিকম্প হয়নি মানব ইতিহাসে।
অর্থাৎ কুরআন অনুযায়ী,
যেহেতু পৃথিবীতে পাহাড়
পর্বত আছে (যেগুলোর চাক্ষুস প্রমাণ আমরা পেয়েছি) সুতরাং পৃথিবীতে কোন ভূমিকম্প হয়নি
এবং কখনই হয় না। কুরআন অনুযায়ী যদি পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয় তবে কুরআন এবং আল্লাহ মিথ্যে হয়ে যায়
(নাউযুবিল্লাহ)।
কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল
আলামিন কখনই মিথ্যে হতে পারেন না। সুতরাং পৃথিবীতে কোন ভূমিকম্প হয় না এটাকেই সত্য বলে ধরে নিতে
হবে। তা না হলে কুরআন ও
আল্লাহর বিপক্ষে চলে যেতে হবে (আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন)।
সুতরাং আমাদের বিশ্বাস
করতে হবে (অন্ধভাবে) যে, পৃথিবীতে যেহেতু অনেক অনেক পাহাড় পর্বত আছে তাই পৃথিবীতে কোন
ধরনের ভূমিকম্প হয় না, কখনও হয়নি।
তাই আমরা ধরে নিতে
পারে ভূমিকম্পের যেসব খবর আমরা মিডিয়াতে পাই সেগুলো সের্ফ্ ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র।
সুতরাং একজন মুমিন
মুসলমান হয়ে আমার আপনার একনিষ্ট কর্তব্য এসব ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্রমুলক ভূমিকম্পের
খবরগুলোকে বিনা বাক্য ব্যয়ে মিথ্যে বলে অবিশ্বাস করা।
প্রতিটি মুমিন মুসলমানদের
প্রধান দায়িত্ব কুরআন এবং আল্লাহ সত্যি এই বিশ্বাসে অটুট থাকা। আর তাই যখন আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন কুরআনে বলবেন যে, পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে ভূমিকম্প বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে, তখন আমাদের মুমিন
মুসলমানদের প্রধান দায়িত্ব হলো এটা বিশ্বাস করা যে পৃথিবীতে কোন ধরণের ভূমিকম্পই
হয় না।
এসব ভুমিকম্পের খবর
ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র মাত্র।
যেহেতু প্রতিটা মুমিন
মুসলমানদের দায়িত্ব চোখ বন্ধ করে কুরআন ও আল্লাহ মহার রাব্বুল আলামিনের কথা বিশ্বাস
করা, তাই কুরআনের কথাকেই
চরম সত্য বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে হবে। আর তাই কুরআন যেহেতু বলেছে পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপনের মাধ্যমে
পৃথিবীতে সব ধরনের ভূমিকম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাই আমরা বিশ্বাস করবো না যে পৃথিবীতে
কোন ধরনের কম্পন বা ভুমিকম্প হয়।
কুরআন যেহেতু বলেছে
পাহাড় পর্বত স্থাপনের মাধ্যমে ভুমিকম্প বন্ধ হয়ে গেছে অর্থাৎ ভূমিকম্প হয়নি,
হয় না এবং হবেও না,
আর তাই আমরা পৃথিবীতে
যে ভূমিকম্পের খবরগুলো পাই মিডিয়ার মাধ্যমে সেগুলো একদম মিথ্যে এবং বানুয়াট। এগুলো ইহুদি নাসারারা
তৈরী করেছে কুরআন ও আল্লাহকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে কোন ভূমিকম্প হয়নি
এবং হবেও না কখনও (যেহেতু আল্লাহ বলেছেন)।
আর তাই আমরা ইহুদী
নাসারাদের তৈরী করা ভূমিকম্পের মিথ্যে খবরকে কখনই বিশ্বাস করবো না। মিডিয়া যতই বলুক না
কেন আমরা কখনই বিশ্বাস করবো না যে পৃথিবীতে ভুমিকম্প হয়।
বি.দ্র.: যেহেতু পৃথিবীতে
ভুমিকম্প হয় না কারণ কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, তাই নেপালের ভূমিকম্পের সাম্প্রতিক খবরটাও
ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয় (কারণ আল্লাহ ভূল হতে পারে না) । যদিও আমরা বাংলদেশে
থেকেও একটি কম্পন (পরপর দুই দিন) অনুভব করেছি কিন্তু তবুও এটাকে ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র
হিসেবে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবো। কারণ সেটা না করলে আমাদের আল্লাহর প্রতি ইমান থাকবে না। যেহেতু মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন কুরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, তিনি পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত সৃষ্টির মাধ্যমে
ভূমিকম্পকে একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন তাই পৃথিবীতে কোন ধরনের ভূমিকম্পই হয় না বলেই
আমাদের ইমানী বিশ্বাস (অন্ধবিশ্বাস) হওয়া উচিৎ।
মাঝে মাঝে যে ভূ-কম্পন
আমরা অনুভব করি সেগুলো ইহুদী নাসারাদের কৃতিম ভাবে তৈরী করা কম্পন হিসেবেই আমাদের
ধরে নেওয়া ইমানী দায়িত্ব।